প্রকাশিত: ২৩/০৯/২০১৬ ২:১৭ পিএম

rafiq-pic22-09-16-768x461রফিক মাহামুদ, উখিয়া ::

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কোটবাজার স্টেশনের স্বরণকালের ভয়াবহ যানযট সৃষ্টি হয়ে দীর্ঘ ৪ঘন্টা যান চলাচল ব্যাঘাত ঘঠেছে। ফলে পর্যটক সহ হাজার হাজার যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। উখিয়া উপজেলার ব্যাস্ততম স্টেশন কোটবাজার চৌরাস্তার মোড় থেকে সৃষ্টি হওয়া যানযট কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ ২কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন যানবাহনের সারি দেখা গেছে। এই ছাড়াও কোটবাজার-সোনারপাড়া সড়ক ও কোটবাজার-ভালুকিয়া সড়কের যানজটের একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘ ৪ঘন্টা ধরে যানযট সৃষ্টি হলেও ট্রাফিক পুলিশ ও আইন শৃংখঙলা বাহিনীর কোন খবর ছিল না। নামে মাত্র চন্দন কুমার নামে একজন ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও সে নিজের ধান্ধায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। সরজমিনে দেখা যায় গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পপতিবার বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ব্যাস্ততম স্টেশন কোটবাজার থেকে সৃষ্টি হওয়া যানযটের কারনে কোটবাজার থেকে দক্ষিণে সাদৃর কাটা ও উত্তর দিকে বটতলী পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী বাস মিনি বাস মালবাহী ট্রাক মিনি ট্রাক প্রাভেইট ক্যার নোহা মাইক্র সিএনজি অটোরিক্সা টমটম সহ অসংখ্য গাড়ির সারি ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এই ছাড়া ও কোটবাজার-সোনার পাড়া সড়কে কোটবাজার থেকে রুমখা ছাগলের বাজার রাস্তামাতা পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির বহর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেতে হয়েছে। ভয়াবহ এই যানযটের কবলে পড়ে সন্ধ্যায় টেকনাফ ও ইনানী থেকে ফেরত আসা হাজার হাজার পর্যটক ও যাত্রীদের চরম ভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। হঠাৎ করে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে কোটবাজারের এই দীর্ঘ যানযট দেখে ট্রাফিক পুলিশ ও আইন শৃংখঙলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বরণ কালের ভয়াবহ যানযট চলাকালিন সময় কোটবাজার স্টেশনে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ চন্দন কুমার সোনার পাড়া বাজারে গিয়ে জৈনক এক ব্যাক্তির নিকট চাঁদা আদায় নিয়ে ব্যস্ত ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উখিয়া উপজেলা সিএনজি মালিক ও চালক সমিতির দায়িত্ব প্রাপ্ত এক শ্রমিক নেতা বলেন, গত ২/৩ মাস ধরে ট্রাফিক পুলিশ চন্দন কুমার কোটবাজার আসার শুরু থেকে তার কর্মকান্ড ছিল প্রশ্নবৃদ্ধ। সে দিনে ঘন্টা দুই এক দায়িত্ব পালন করলেও বাঁকী সময় চাঁদার টাকা হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন যানবাহন টমটম সিএনজি কারনে অকারনে আটকিয়ে রেখে চাঁদার টাকা নিজের পকেটস্থ করে বেলা ৪টার পূর্বেই উধাও হয়ে যায়। টেকনাফ থেকে ফিরে আসা সুমন চক্রবতী নামের এক পর্যটক বলেন, এভাবে যানযটে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হলে তাদের গুরুত্বপূণ্য সময় নষ্ট হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এক জায়গায় ২/৩ঘন্টা যানযটে আটকে থাকতে হলে ঢাকাগামী গাড়ির বুকিং দেওয়া টিকেট মিস হতে পারে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি এই রকম ধান্ধাবাজ ট্রাফিক পুলিশ চন্দন কুমারের অপসারনের জন্য কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। – S

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...